Register

Win 10.00$

আল্লাহর সাধনায় তাহাজ্জুতের নামাজের ফজিলত

Be the first to comment!

আরবি ‘তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ রাত জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে নামাজ পড়া। শরিয়তের পরিভাষায় রাত দ্বিপ্রহরের পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে নামাজ আদায় করা হয় তা-ই ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ। এই নামাজ নফল; তবে এর গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুল (সা.)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি। তবে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটা সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়তের সঙ্গে সওয়াবের আশায় মাহে রমজানের রোজা পালন করে, তার বিগত জীবনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় মাহে রমজানের রাতে কিয়াম করে, তার বিগত দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়াম বা রাত জেগে ইবাদত করে, তার বিগত জীবনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’
রমজান মাস ও অন্যান্য সময় তাহাজ্জুদ নামাজ রাত দ্বিপ্রহরের পরে পড়তে হয়। মধ্যরাতে যখন লোকেরা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন, তখন রোজাদার মুমিন বান্দা ঘুম থেকে জেগে ইবাদত-বন্দেগি করেন এবং সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে এ নামাজ আর পড়া যায় না। রাত দ্বিপ্রহরের পর নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে এশার নামাজের পর এবং বিতরের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। মাহে রমজানসহ বিভিন্ন সময় তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। রাসুল (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ কখনো চার রাকাত, কখনো আট রাকাত এবং কখনো ১২ রাকাত পড়তেন। তবে তাহাজ্জুদ নামাজ কমপক্ষে ৪ রাকাত আদায় করা উচিত। তবে কেউ এ নামাজ দুই রাকাত আদায় করলেও তার তাহাজ্জুদ আদায় হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এজন্য রাসুল (সা.) কখনো বিনা ওজরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আল্লাহকে পাওয়ার সাধনায় তাহাজ্জুদ বিশেষ ভূমিকা রাখে।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$