Register

Win 10.00$

সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে-বরাতের তারিখ জানালো চাঁদ দেখা কমিটি

Be the first to comment!

মুসলমানদের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে-বরাত। যা লাইলাতুল বরাত বা ভাগ্য রজনী নামেও পরিচিত। এ রাতে আল্লাহ প্রত্যেক ব্যক্তি, জাতি ও দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন। ওই রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ নফল ইবাদত-বন্দেগি করবেন।
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ২২ মে দিবাগত রাতে মুসলমানদের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। শনিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠক শেষে এ কথা জানানো হয়।
কমিটি জানায়, শনিবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী সোমবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪ শাবান দিবাগত রাতকে শবে বরাত বা ভাগ্যরজনীর রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে আগামী ২২ মে শবে বরাতের রাত।
ফারসি ‘শব্দ’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘ইসলামী বিশ্বকোষ’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ইরান ও ভারতীয় উপমহাদেশে এ মাসের একটি রজনীকে ‘শব-ই-বরাত’বলা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো কোনো দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শবে-বরাত ভিন্ন নামে পরিচিত। আরব বিশ্বের মানুষ এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান’ বলেন।
মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
হাদিসে এবং আলেম-ওলামা ও তাফসীরকারকদের বর্ণনায় শবে বরাতের বহু তাৎপর্য এবং এ রাতের মহিমার কথা উল্লেখ করেছেন।
হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহপাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাস নাযিল করেন।’
অতঃপর ঘোষণা করেন, ‘কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোনো মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দেব। এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।’-(ইবনে মাজাহ, মিশকাত)।
হাদীসে আরো এসেছে, হযরত আয়েশা (রা.) বলেন- ‘এক রাতে রাসূলকে (সা.) না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে আমি তাকে দেখতে পেলাম। মহানবী (সা.) বললেন- কী ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তার রাসূল তোমার উপর কোনো অবিচার করবেন? হযরত আয়েশা (রা.) বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল (সা.) তখন বললেন- যখন শাবান মাসের ১৫তম রাত আসে তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। -(সুনানে তিরমিযী)।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$