Register

Win 10.00$

মহিমান্বিত শবে বরাত : প্রকৃত অর্থে আমাদের করণীয়

Be the first to comment!

হাদিসে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান’ বলে ১৪ই শাবান দিবাগত রাতকে বুঝানো হয়েছে। এ রাতের ইবাদাত বন্দেগি তথা ফজিলত নিয়ে সমাজে মারাত্মক বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি পরিলক্ষিত হয়। যা একেবারেই কাম্য নয়। এ রাতের ফজিলত ও তাৎপর্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই বলে বিশেষ কোনো পন্থায় রাত উদযাপন, ইবাদাত-বন্দেগির নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবন না করে বেশি বেশি ইবাদাত-বন্দেগি করা উত্তম। এ রাত সম্পর্কিত হাদিসের বর্ণনা তুলে ধরা হলো-
১. মুআয ইবনে জাবাল রা. বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে মাফ করে দেন।’(ইবনে হিববান, ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা)
২. ‘‘হযরত আলা ইবনুল হারিস রাহ. থেকে বর্ণিত, আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইরশাদ করলেন-
‘এটা হল অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ ( বাইহাকি)
৩. হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরো বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি (নফল) রোজা রাখতেন না। (বুখারি, মুসনাদে আহমাদ) সুতরাং এ মাসে নফল রোজা ও নফল ইবাদাতের করাও উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাবান মাসব্যাপী বেশি বেশি নফল রোজা ও নফল ইবাদাত করার পাশাপাশি লাইলাতুল বারাত পালনে ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি ও রসম-রিওয়াজ থেকে হিফাজাত থেকে এবং হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবাদাত-বন্দেগির করে তাঁর নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$