Register

Win 10.00$

দোয়া কবুল হতে জানুন দোয়া কবুলের নিয়ম কানুন।

Be the first to comment!

দৈনন্দিন আমলের মধ্যে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরানে ইরশাদ হচ্ছে ‍-“ তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দিব। যারা অহংকারে আমার উপাসনা বিমুখ, ওরা লাঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (আল মুমিন-৬০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আল্লাহর কাছে দোয়া অপেক্ষা অধিক সম্মানিত কোন কিছুই নাই।” (তিরমিজি) তিনি আরও বলেন, “দোয়া ইবাদতের মগজ।” (তিরমিজি)
আমরা সবাই কম-বেশি দোয়া করি। তবে আমরা অনেকেই দোয়ার আদবসমূহ জানি না। যেনতেনভাবে দোয়া করলেই যেন বেঁচে যাই। অথচ দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দরবারে কিছু প্রার্থণা করি। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন দাবি নিয়ে যাই তাহলে কি যেন তেনভাবে সেই দাবিকে তুলে ধরি? নিশ্চয়ই নয়। তাহলে সৃষ্টিকূলের প্রতিপালক মহান রব্বুল আলামিনের কাছে যখন কিছু চাইবো তখন কেন তা যথাযথভাবে চাইবো না?
তাই আসুন দোয়ার আদবসমূহ জেনে নেই। যাতে আমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে তার কাছ থেকে কিছু আদায় করে নিতে পারিঃ
১. দোয়া করার জন্য উওম দিনসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখা। যেমন, আরাফার দিন, রমযান মাস, জুমুআর দিন,ও সেহরীর সময়।
২. উওম পরিস্হিতির সুযোগ গ্রহণ করা। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)বলেন, যখন আল্লাহর রাস্তায় সৈন্যরা দুশমনদের মুখোমুখি হয়, যখন বৃষ্টি হতে থাকে এবং যখন নামাযের জন্য ইকামত বলা হয়, তখন আকাশের দরজা খুলে যায়।
৩. দোয়াকারী কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা এবং হাত এতটুকু উঠানো যাতে বগলের শুভ্রতা দেখা যায়। দোয়া শেষে দু’হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে নেয়া উচিত।
৪. আস্তে আস্তে দোয়া করা। হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)বর্ণনা করেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সঙ্গে সফর থেকে ফিরছিলাম। মদীনার কাছাকাছি এসে তিনি তাকবীর বললেন। লোকেরাও খুব উচ্চেঃস্বরে তাকবীর বলল। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, হে লোকসকল!তোমরা যাকে ডাকছ, তিনি বধির এবং অনুপস্হিত নন; বরং তিনি তোমাদের ও তোমাদের সওয়ারীর ঘাড়ের মধ্যস্হলে রয়েছেন।
৫. দোয়াতে ছন্দ মিলানোর চেষ্টা না করা। দোয়ার ভাষা কাকুতি-মিনতি ও বিনয়ের হওয়া। রাছুলুল্লাহ্ (ছ)বলেন, সত্বরই কিছু লোক এমন হবে, যারা দোয়ার মধ্যে অতিরঞ্জিত করবে।
৬. আগ্রহ ও ভয়সহকারে দোয়া করা। আল্লাহতাআলা বলেন, অর্থাৎ,’নিশ্চয় তারা সৎকাজে দ্রুত অগ্রসর হতো এবং আমার কাছে আশা ও ভয় নিয়ে দোয়া করত।
৭. খালেছভাবে দোয়া করা এবং কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। এক হাদীসে আছে আল্লাহতাআলার কাছে কবুল হবে এই বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করা। মনে রেখো, আল্লাহপাক গাফেল অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।
৮. দোয়ার শব্দাবলী তিনবার বলা । হযরত ইবনে মাসউদ (রা)বলেন, রসুলুল্লাহ্ (ছ)দোয়া করলে তিনবার করতেন এবং কোন কিছু চাইলে তিনবার চাইতেন। দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে এ রকম মনে করা উচিত নয় যে, দেরী হয়ে গেছে। কারণ, রাছুলুল্লাহ্ (ছ)বলেন, তোমদের দোয়া তখন কবুল হবে, যখন তোমরা তড়িঘড়ি করবে না এবং বলবে না যে, আমি দোয়া করলাম অথচ কবুল হল না। দোয়া করার সময় আল্লাহর দরবারে অনেক কিছু চাইবে। যেহেতু, আল্লাহ মহান দাতা।
৯. আল্লাহর যিকর দ্বারা দোয়া শুরু করা এবং প্রথমেই কোন কিছু দাবী না করা। সালামা ইবনে আকওয়া বলেন, আমি রাছুলুল্লাহ্ (ছ)কে কখনও এই কলেমা না বলে দোয়া শুরু করতে শুনিনি, ‘ছুবহা-না রাব্বীইয়াল উলাল আয়লাল ওয়াহ্হা-ব-“পূত পবিএ আমার রব! যিনি মহান সুউচ্চ দাতা।“ আবু সোলায়মান দারানী বলেন, যে লোক আল্লাহতাআলার নিকট কোন কিছু চায়, তার কর্তব্য প্রথমে দরুদ পড়া এবং দরুদ দ্বারা দোয়া শেষ করা।
১০. তাওবা করা এবং হকদারদের হক তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়ে পূর্ণ উ্যদম সহকারে আল্লাহতাআলর প্রতি মনোনিবেশ করা।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$