মহান আল্লাহ তায়ালা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উম্মত হিসেবে আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাই আল্লাহর পা’না পেতে এবং রহমতের শীতল ছোঁয়া পেতে তার বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি।আসুন জেনে নেই যে দোয়া পাঠ না করলে কোন আমলই কবুল হবে না !
বাক্যটি হলঃ বিসমিল্লাহির রহ্ মানির রহিম।
রাসুল (সঃ) এর মতে, “যে আমল বিসমিল্লাহির রহ্ মানির রহিম পাঠ করে শুরু হয়, তা কখনো আল্লাহ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয় না।”
এ প্রসঙ্গে আরবী হাদিসটি হলোঃ
ﻭَﻋَﻦ ﺟَﺎﺑِﺮٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ، ﻳَﻘُﻮﻝُ : ্র ﺇِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑَﻴْﺘَﻪُ، ﻓَﺬَﻛَﺮَ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋِﻨْﺪَ ﺩُﺧُﻮﻟِﻪِ، ﻭَﻋِﻨﺪَ ﻃَﻌَﺎﻣِﻪِ، ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻷَﺻْﺤَﺎﺑِﻪِ : ﻻَ ﻣَﺒِﻴﺖَ ﻟَﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﻋَﺸَﺎﺀَ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮِ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋِﻨْﺪَ ﺩُﺧُﻮﻟِﻪِ، ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ : ﺃﺩْﺭَﻛْﺘُﻢُ ﺍﻟﻤَﺒِﻴﺖَ ؛ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮِ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋِﻨْﺪَ ﻃَﻌَﺎﻣِﻪِ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃﺩْﺭَﻛْﺘُﻢ ﺍﻟﻤَﺒِﻴﺖَ ﻭَﺍﻟﻌَﺸَﺎﺀَ গ্ধ. ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
অর্থাৎঃ জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, বিসমিল্লাহ প্রার্থনা কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত। কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।”
অন্যথা যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে না (অর্থাৎ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে না), তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে। আর যখন আহার কালেও আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে না (অর্থাৎ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে না), তখন সে তার চেলাদেরকে বলে, তোমরা রাত্রিযাপন স্থল ও নৈশভোজ উভয়ই পেয়ে গেলে।
সূত্রঃ [মুসলিম ২০১৮, আবু দাউদ ৩৭৬৫)
সুতরাং আমল কবুল করার জন্য (অবশ্যই ভালো আমল) আমাদের সেই আমল শুরুর পূর্বেই বিসমিল্লাহ পড়ে নিতে হবে।
Post a Comment