বছরজুড়েই ই’তিকাফ করা যায়। তবে রমজানের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করার বিশেষ নির্দেশ রয়েছে। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু ই’তিকাফ করেছেন। আর রমজানের শেষ দশকের ই’তিকাফ হলো মাসনুন ই’তিকাফ।
নারী ও পুরুষ সবাই ই’তিকাফ করতে পারবে। পুরুষদের জন্য মসজিদে ই’তিকাফ করা। মহিলাদের জন্য মসজিদে আলাদা ব্যবস্থা না থাকলে নারীরা ঘরেই ই’তিকাফ করবে।
ই’তিকাফে নারীদের কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো-
১. মসজিদে নারীদের ই’তিকাফের সুব্যবস্থা না থাকলে নিজগৃহে ই’তিকাফে বসবে। ঘরে নামাজের নির্ধারিত স্থান না থাকলে নিদিষ্ট একটি জায়গায় কাপড় টানিয়ে পর্দা করে ই’তিকাফে বসা।
২. স্বামী অসুস্থ্য থাকলে, সন্তান-সন্ততি ছোট হলে, নারীদের ই’তিকাফে বসা জরুরি নয়। কারণ অসুস্থ্য স্বামীর সেবা এবং ছোট ছোট সন্তান-সন্ততির তত্ত্ববধান করাই নারীর জন্য সর্বোত্তম কাজ।
৩. যে সকল কারণে নারীদের রোজা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ আছে, সে সকল অবস্থায় নারীদের ই’তিকাফ সহিহ হবে না। কেননা রমজানের মাসনুন ই’তিকাফের জন্য রোজা রাখা জরুরি। আর ইবাদাত-বন্দেগির জন্য পবিত্রতাও আবশ্যক।
৪. ই’তিকাফে বসার পূর্বে মহিলাদের ঋতুস্রাবের শুরু ও শেষের সঠিক হিসাবের দিকে লক্ষ্য রাখা।
৫. নিজগৃহে ই’তিকাফ পালনকারী নারীরা তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যতিত অন্যস্থানে যাতায়াত না করা।
৬. সর্বোপরি ই’তিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কোনো নারীর ই’তিকাফ সহিহ হবে না।
আল্লাহ তাআলা ই’তিকাফের বিষয়গুলো যথাযথ লক্ষ্য রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Post a Comment