লড়াইয়ে জিততে শক্তি যতটা না লাগে তার চেয়ে বেশি লাগে স্নায়ু।
বাঘ আপনার চেয়ে অনেক শক্তিশালী, তারপরেও আপনি চোখে চোখ রেখে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। বাঘটা হয়ত চলে যাবে।
যদি না যায়, যদি খুব ক্ষুধার্ত হয়, যদি ঝাপিয়ে পড়ে–আপনি একটা সুযোগ পাবেন। লাফিয়ে ডজ করার। হাতে একটা অস্ত্র তুলে নেয়ার।
তবে আপনি যদি বাঘ দেখে দৌড় দেন, বাঁচার সম্ভাবনা কম। বাঘের সাথে দৌড়ে পেরে উঠবেন না।
বাঘের থাবাটা পিঠের চেয়ে বুকে ভালো।
এখন সময়টা এমন—মানুষরূপী শয়তানরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনার টুপির দিকে, দাড়ির দিকে, বোরখার দিকে। তাকিয়ে আছে আপনার ইসলাম শেখার ক্লাসটার দিকে।
কেন?
কারণ ওর আখিরাত নেই, সব দুনিয়ায়। ও প্রভুর পা চাটে। বোনাস পায়, প্রমোশন পায়। ও ধরে নিয়েছে ও মরবে না। ওর প্রভুও মরবে না।
তবে আপনি যখন কবরের জীবনের জন্য কাজ করেন ওর বুকটা অজানা আশঙ্কায় দুলে ওঠে।
আসলে যদি কবরের আযাব সত্যি হয়?
আসলে যদি জান্নাত সত্যি হয়?
আসলে যদি ওকে জাহান্নামে যেতে হয়?
ও ভয় পায়।
ও আপনাকেও তার দলে পেতে চায়।
ঠিক যেমনিভাবে ইবলিস শয়তান মানুষকে টানে জাহান্নামের দিকে।
আপনি সাহসী হন। যা করছিলেন করুন। মাসজিদ ছাড়বেন না। মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেওয়া ছাড়বেন না। ভয় পাবেন না।
আপনি তো সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন না। আপনি মানুষকে শান্তির দিকে ডাকছেন। আপনি তো মৃত্যুর ফেরিওয়ালা নন। এই দুনিয়াতে আপনি মানুষের সেবার কথা বলেন। মুচকি হাসি দিয়ে ভালো ব্যবহার করতে বলেন। দুস্থকে খাবার দিতে বলেন। আপনি সে কাজ করতে বলেন যাতে অনন্তকালের জীবনের শান্তি পাওয়া যায়।
আপনার কিসের ভয়? ভয় পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা।
মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহর আনুগত্যের ওপর-ই থাকুন।
– শরীফ আবু হায়াত অপু
Post a Comment