Register

Win 10.00$

কুরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার দুটি শর্ত

Be the first to comment!

আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে আত্মত্যাগের মহান ইবাদাতের নাম হলো কুরবানি। যে কাজে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর বন্ধু হওয়ার জন্য চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সুমহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতেই কুরবানির বিধান আমাদের ওপর আরোপিত করা হয়েছে।

এ কুরবানি কোনো লোক দেখানো ইবাদাতের নাম নয়। কুরআন ও হাদিসে কুরবানির বিষয়টি সুস্পষ্ট এবং প্রমাণিত যে, কোনো নেক আমলই আল্লাহ তাআলার নিকট ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাতে দুটি শর্ত পূরণ করা হয়। কুরবানিও তার ব্যতিক্রম নয়। যা তুলে ধরা হলো-

প্রথমত
কুরবানির জন্য প্রয়োজন ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা। কুরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে। নিয়তে পরিশুদ্ধতা না থাকলে কুরবানি কবুল হবে না। দুনিয়ায় প্রথম কুরবানি হাবিল ও কাবিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত কুরবানি। এতে কাবিলের কুরবানি কবুল হয়নি। কাবিলের কুরবানি কবুল না হওয়া প্রসঙ্গে হাবিল বলেছিলেন, ‘ আল্লাহ তাআলা মুত্তাক্বিদের (পরহেযগার ও সংযমী) কুরবানিই কবুল করে থাকেন। (সুরা মায়িদা : আয়াত ২৭)

কুরবানির একনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে কখনো ওগুলির (কুরবানির জন্তুর) গোশত পৌঁছে না এবং রক্তও না; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া (সংযমশীলতা); এভাবে তিনি ওগুলিকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এই জন্য যে, তিনি তোমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। আর তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মশীলদেরকে। (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)

দ্বিতীয়ত
আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত বিধান অনুযায়ীই কুরবানি করতে হবে। এ কুরবানিসহ কোনো ইবাদাতেই তাঁর অংশীদার স্থাপন করা যাবে না। তবেই তাঁর কুরবানিসহ যাবতীয় ইবাদাত কবুল হওয়ার আশা করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরিক না করে। (সুরা কাহফ : আয়াত ১১০)

পরিশেষে…
যারা শুধুমাত্র বেশি করে গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানি দেয় অথবা লোক সমাজে সুনাম অর্জনের উদ্দেশ্যে মোটা-তাজা দেখে উচ্চ মূল্যের পশু ক্রয় করে এবং তা প্রদর্শন ও প্রচার করে থাকে; তাদের কুরবানি যে ইবাদত নয়, তা সবারই জানা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল কুরবানিদাতার মানসিকতার পরিশুদ্ধতা দান করুন। কুরবানিসহ সকল ইবাদাত-বন্দেগি গ্রহণযোগ্য করতে উপরোক্ত দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা একান্ত আবশ্যক। সুতরাং কুরবানি হোক শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। তিনি সবার কুরবানি কবুল করুন। আমিন।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$