মাহে রমজানে আল্লাহ তাআলা এত অধিক রহমত-বরকত নাজিল করেন যে এতে বান্দার কৃত গুনাহ ও পাপ জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ মাসে আল্লাহর সব সৃষ্টি তাঁর অশেষ রহমতের পাশে ধন্য হয়। এ নিয়ামতপূর্ণ মোবারকময় মাসে পরম করুণাময়ের অপার রহমতের দরজা তাঁর নেক বান্দাদের জন্য খুলে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের সামনে রমজান মাস উপস্থিত। এটা অতিশয় রহমত-বরকতপূর্ণ মাস।
এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানকে আটক করে রাখা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে লোক এ রাতের মহাকল্যাণ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকল, সে প্রকৃতই সবকিছু থেকে বঞ্চিত।’
আগামী ২৭ মে সন্ধ্যায় চলতি বছরের পবিত্র মাহে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে অনুযায়ী ওই দিন রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে পবিত্র রমজান শুরু হবে সৌদি আরবে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুরুর পরের দিন থেকে বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২৮ মে থেকে বাংলাদেশে পবিত্র মাসটি পালিত হতে পারে।
সৌদি আরবের জ্যেষ্ঠ স্কলার পরিষদের সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান আর-মানি’র বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় দৈনিক আল-মদিনা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সৌদি আরবে ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যায় পবিত্র মাহে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। শনিবার রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোববার পবিত্র রমজান শুরু হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছর রমজান মাস হবে ২৯ দিনে। ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এ বছর রমজানের আগের মাস শাবান ৩০ দিনের। রমজান মাস শেষ হবে আগামী ২৪ জুন; ফলে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে পরের দিন অর্থাৎ ২৫ জুন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর হজের মাসও হবে ২৯ দিনের এবং এ মাস শুরু হবে ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার। সে অনুযায়ী হাজিদের আরাফাত দিবস পালন করা হবে ৩১ আগস্ট। পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
নবী করিম (সা.) মাহে রমজানকে রহমত, বরকত ও কল্যাণের মাস বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। ঝরনাধারার মতো আল্লাহর আশিসধারা রোজাদারদের অন্তররাজ্যে লোকদৃষ্টির অলক্ষ্যে বর্ষিত হতে থাকে। রমজান মাস এমন একটি মাস, যার প্রথম ১০ দিন রহমতে পরিপূর্ণ, দ্বিতীয় ১০ দিন ক্ষমা ও মাগফিরাতে পরিপূর্ণ এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নামের শাস্তি থেকে নাজাত ও মুক্তির জন্য নির্ধারিত। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহের মাগফিরাত এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে।’ (মিশকাত)
Post a Comment