Register

Win 10.00$

ইত্তিবায়ে সুন্নাতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

Be the first to comment!

মুমিনের জন্য ইত্তেবায়ে সুন্নাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা সুন্নাতী তরীকা ব্যতীত কোন আমল কবুল হয় না; রাসূল (ছাঃ)-এর অনুসরণ না করলে পরকালে তাঁর শাফা‘আত মিলবে না। ফলে জাহান্নামে যেতে হবে। তাই ইত্তেবায়ে সুন্নাতের গুরুত্ব অত্যধিক। এ বিষয়ে নিম্নে আলোচনা পেশ করা হ’ল।-
(ক) ইবাদত কবুলের মাধ্যম : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﻓَﻤَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺮْﺟُﻮْ ﻟِﻘَﺎﺀَ ﺭَﺑِّﻪِ ﻓَﻠْﻴَﻌْﻤَﻞْ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺓِ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ -
‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ (কাহফ ১৮/১১০) । অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইবাদত কবুলের দু’টি শর্ত উল্লেখ করেছেন, যার অন্যতম হ’ল, সৎ আমল। আর ঐ আমলই কেবল সৎ আমল হিসাবে গণ্য হবে, যা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﻭَﻣَﺎ ﺁﺗَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝُ ﻓَﺨُﺬُﻭْﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﻬَﺎﻛُﻢْ ﻋَﻨْﻪُ ﻓَﺎﻧْﺘَﻬُﻮْﺍ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﺷَﺪِﻳْﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ - ‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর’ (হাশর ৫৯/৭) ।
এ আয়াতে আল্লাহর স্পষ্ট নির্দেশ হ’ল, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যতটুকু নিয়ে এসেছেন ততটুকুই গ্রহণীয় হবে। তাঁর আনীত বিধানের বাইরে কোন ভাল কাজও গ্রহণীয় হবে না। আল্লাহ বলেন, ﻓَﻠْﻴَﺤْﺬَﺭِ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳُﺨَﺎﻟِﻔُﻮْﻥَ ﻋَﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻩِ ﺃَﻥْ ﺗُﺼِﻴْﺒَﻬُﻢْ ﻓِﺘْﻨَﺔٌ ﺃَﻭْ ﻳُﺼِﻴْﺒَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴْﻢٌ - ‘যারা তাঁর (রাসূলের) আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা এ ব্যাপারে সতর্ক হেŠক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (নূর ২৪/৬৩) ।
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, যারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণ করবে তাদের উপর বিপর্যয় ও আযাব নেমে আসবে। অতএব মানুষ যেন তার প্রতিটি কথা ও কর্ম রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কথা ও কর্মের নিকট পেশ করে। যেগুলো তাঁর কথা ও কর্মের সাথে মিলে যাবে সেগুলো কেবল গ্রহণীয় হবে। আর যা মিলবে না তা প্রত্যাখ্যাত হবে। [7] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
ﻣَﻦْ ﻋَﻤِﻞَ ﻋَﻤَﻼً ﻟَﻴْﺲَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻣْﺮُﻧَﺎ ﻓَﻬُﻮَ ﺭَﺩٌّ ‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই তা প্রত্যাখ্যাত’। [8] তিনি আরো বলেন, ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺪَﺙَ ﻓِﻲْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻫَﺬَﺍ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻴْﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺭَﺩٌّ ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’। [9] অতএব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যতটুকু ইবাদত করেছেন, করতে বলেছেন এবং সমর্থন করেছেন, আমাদের জন্য ঠিক ততটুকু ইবাদতই পালনীয়। আর রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত বহির্ভূত আমল মানুষের নিকট যত ভাল কাজ হিসাবেই বিবেচিত হোক না কেন তা অবশ্যই বর্জনীয়।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি আমাকে এমন কিছু আমলের কথা বলে দিন, যে আমলগুলি করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। ফরয ছালাত সমূহ আদায় করবে। নির্ধারিত যাকাত প্রদান করবে এবং রামাযান মাসে ছিয়াম পালন করবে। লোকটি বলল, ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ (আপনি যতটুকু ইবাদতের কথা বললেন) আমি কখনো এর চেয়ে সামান্যতম বেশী করব না এবং সামান্যতম কমও করব না। অতঃপর লোকটি চলে গেলে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোককে দেখতে চায় সে যেন এই লোকটিকে দেখে’।
[10]
অত্র হাদীছে উল্লিখিত রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে আগমনকারী বেদুঈন লোকটি পূর্বে তেমন কোন আমল করেনি। হঠাৎ এসে কিছু আমলের কথা জানতে চাইল। যে আমলগুলোর মাধ্যমে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। রাসূল (ছাঃ) তাকে কিছু আমলের কথা বলে দিলেন। লোকটি চলে যাওয়ার সাথে সাথে রাসূল (ছাঃ) তাকে জান্নাতী বলে ঘোষণা দিলেন। অথচ লোকটি সেই আমলগুলো শুরুই করতে পারেনি। এর কারণ হ’ল, লোকটি বলেছিল, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে যতটুকু আমলের কথা বললেন, আমি ততটুকুই পালন করব। এর থেকে সামান্যতম বেশী করব না এবং কমও করব না। এই একটি কথার কারণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জান্নাতী বলে ঘোষণা দিলেন।
অন্য হাদীছে এসেছে, আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা তিন জনের একটি দল রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীদের বাড়ীতে আসল। তারা (রাসূল (ছাঃ)-এর) ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। (রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীরা) যখন তাদেরকে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে সংবাদ দিলেন তখন তারা এটিকে কম মনে করল। অতঃপর বলল, রাসূল (ছাঃ) কোথায় আর আমরা কোথায়। তাঁর পূর্বের ও পরের সকল পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তারপর তিনজনের একজন বলল, আমি প্রত্যহ সারা রাত জেগে ছালাত আদায় করব। অপর ব্যক্তি বলল, আমি প্রতিদিন ছিয়াম পালন করব, কখনো ছিয়াম ত্যাগ করব না। অপর ব্যক্তি বলল, আমি কোন নারীর নিকটবর্তী হব না এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব না। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাদের নিকট আসলেন এবং বললেন, তোমরাই কি তারা, যারা এরূপ এরূপ মন্তব্য করেছ? সাবধান! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের চাইতে আল্লাহকে বেশী ভয় করি এবং আমি সবচেয়ে বেশী পরহেযগার। কিন্তু আমি রাত্রের কিছু অংশে (নফল) ছালাত আদায় করি এবং কিছু অংশ ঘুমাই। কোন কোন দিন (নফল) ছিয়াম পালন করি এবং কোন কোন দিন ছিয়াম ত্যাগ করি। আর আমি বিবাহ করেছি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত হ’তে বিমুখ হবে (সুন্নাত পরিপন্থী আমল করবে) সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’। [11]
অত্র হাদীছে উল্লিখিত তিন জন ছাহাবীর কারো উদ্দেশ্যই খারাপ ছিল না। ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা অবশ্যই ভাল কাজ। আরেকজন বিবাহ না করে সর্বদা আল্লাহর ইবাদত করতে চেয়েছিল, তার উদ্দেশ্যও ভাল ছিল। কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয় এমন কোন ভাল কাজ ইসলামী শরী‘আতে বৈধ হ’লে, সেদিন রাসূল (ছাঃ) উল্লিখিত তিন ব্যক্তিকে হুঁশিয়ার করতেন না। বরং তাদেরকে আরো উৎসাহিত করে বলতেন, তোমরা খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছ। তোমরা আরো বেশী বেশী ইবাদত করে যাও। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে এরূপ উৎসাহ না দিয়ে তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিলেন যে, তোমাদের ইবাদত যদি আমার সুন্নাত পরিপন্থী হয় তাহ’লে তোমরা আমার উম্মত থেকে খারিজ হয়ে যাবে। অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) কোন চোর, ডাকাত কিংবা ব্যভিচারীকে তাঁর উম্মত থেকে খারিজ বলেননি। বরং অধিক ইবাদত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে উম্মত থেকে খারিজ বলছেন, যার ইবাদত সুন্নাত অনুযায়ী হয় না।
অতএব শুধুমাত্র মানুষের বিবেকের মানদন্ডে ভাল কাজ হ’লেই তা ভাল কাজ হিসাবে গণ্য হবে না। বরং কোন কাজ ভাল কাজ হিসাবে গণ্য হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১. কাজটি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী হওয়া ২. কুরআন ও সুন্নাহর ব্যাখ্যা রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের বুঝ অনুযায়ী হওয়া ৩. বিদ‘আত মুক্ত হওয়া। [12] আর কুরআন ও ছহীহ হাদীছ পরিপন্থী কোন আমল ইসলামী শরী‘আতের মানদন্ডে ভাল কাজ নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻧُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺄَﺧْﺴَﺮِﻳْﻦَ ﺃَﻋْﻤَﺎﻻً، ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺿَﻞَّ ﺳَﻌْﻴُﻬُﻢْ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺴَﺒُﻮْﻥَ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻳُﺤْﺴِﻨُﻮْﻥَ ﺻُﻨْﻌًﺎ -
‘আপনি বলে দিন, আমরা কি তোমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের সম্পর্কে খবর দেব? দুনিয়ার জীবনে যাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়েছে। অথচ তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর আমল করে যাচ্ছে’
(কাহফ ১৮/১০৩-১০৪) ।
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা একজন ভাল আমলকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেননা তা মানুষের দৃষ্টিতে ভাল আমল হিসাবে বিবেচিত হ’লেও ইসলামী শরী‘আতের দৃষ্টিতে ভাল আমল নয়।
(খ) জান্নাত লাভের মাধ্যম : ইত্তিবায়ে সুন্নাত তথা রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত অনুযায়ী ইবাদত করার মাধ্যমে মানুষ জান্নাত লাভ করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﻳَﻮْﻡَ ﺗَﺒْﻴَﺾُّ ﻭُﺟُﻮْﻩٌ ﻭَﺗَﺴْﻮَﺩُّ ﻭُﺟُﻮْﻩٌ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍﺳْﻮَﺩَّﺕْ ﻭُﺟُﻮْﻫُﻬُﻢْ ﺃَﻛَﻔَﺮْﺗُﻢْ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﻳْﻤَﺎﻧِﻜُﻢْ ﻓَﺬُﻭﻗُﻮﺍ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏَ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗَﻜْﻔُﺮُﻭْﻥَ – ‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে এবং কতক মুখ কাল হবে; যাদের মুখ কাল হবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমান আনার পরে কি তোমরা কুফরী করেছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর, যেহেতু তোমরা কুফরী করতে’ (আলে-ইমরান ৩/১০৬) ।
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তাঁরা হ’লেন, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তথা সুন্নাতের অনুসারীগণ। আর যাদের মুখ কাল হবে তারা হ’ল, বিদ‘আতীরা। [13]
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﺃَﺑَﻰ ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺄْﺑَﻰ ﻗَﺎﻝَ ﻣَﻦْ ﺃَﻃَﺎﻋَﻨِﻲْ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ، ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺼَﺎﻧِﻲْ ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺑَﻰ - ‘আমার সকল উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু অস্বীকারকারী ব্যতীত। তারা বললেন, কে অস্বীকার করে। তিনি বললেন, যারা আমার অনুসরণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হয় সে-ই অস্বীকার করে’। [14]
(গ) আল্লাহ্কে ভালবাসার মাধ্যম : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ﻗُﻞْ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗُﺤِﺒُّﻮْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌُﻮْﻧِﻲْ ﻳُﺤْﺒِﺒْﻜُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﻳَﻐْﻔِﺮْ ﻟَﻜُﻢْ ﺫُﻧُﻮْﺑَﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﻏَﻔُﻮْﺭٌ ﺭَﺣِﻴْﻢٌ - ﻗُﻞْ ﺃَﻃِﻴﻌُﻮْﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝَ ﻓَﺈِﻥْ ﺗَﻮَﻟَّﻮْﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳْﻦَ -
‘বল, যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভালোবাস তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। বল, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখ আল্লাহ্ তো কাফেরদেরকে পসন্দ করেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩১-৩২) ।
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন,
ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺂﻳَﺔُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳْﻤَﺔُ ﺣَﺎﻛِﻤَﺔٌ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﻣَﻦِ ﺍﺩَّﻋَﻰ ﻣَﺤَﺒَّﺔَ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﻟَﻴْﺲَ ﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻄَّﺮِﻳْﻘَﺔِ ﺍﻟْﻤُﺤَﻤَّﺪِﻳَّﺔِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﺫِﺏٌ ﻓِﻲْ ﺩَﻋْﻮَﺍﻩُ ﻓِﻲْ ﻧَﻔْﺲِ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ، ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَّﺒِﻊَ ﺍﻟﺸَّﺮْﻉَ ﺍﻟْﻤُﺤَﻤَّﺪِﻱَّ ﻭَﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒَﻮِﻱَّ ﻓِﻲْ ﺟَﻤِﻴْﻊِ ﺃَﻗْﻮَﺍﻟِﻪِ ﻭَﺃَﺣْﻮَﺍﻟِﻪِ -
‘অত্র আয়াতটি ঐ সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফায়ছালাকারী, যারা আল্লাহকে ভালবাসার দাবী করে, অথচ মুহাম্মাদী তরীকার উপরে নেই। ঐ ব্যক্তি তার দাবীতে নিরেট মিথ্যাবাদী, যতক্ষণ না সে তার প্রত্যেকটি কথায় ও কর্মে মুহাম্মাদী শরী‘আতের আনুগত্য করে’। [15]
(ঘ) পূর্ণ মুমিন হওয়ার মাধ্যম :
ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻَ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺣَﺘَّﻰ ﺃَﻛُﻮْﻥَ ﺃَﺣَﺐَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﻭَﺍﻟِﺪِﻩِ ﻭَﻭَﻟَﺪِﻩِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃَﺟْﻤَﻌِﻴْﻦَ -
আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, তার সন্তান-সন্ততি ও সকল মানুষ অপেক্ষা প্রিয়তর হব’।
[16] একদা ওমর ফারূক (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন,
ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻟَﺄَﻧْﺖَ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇِﻟَﻰَّ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺴِﻲْ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻَ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻧَﻔْﺴِﻲْ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﺣَﺘَّﻰ ﺃَﻛُﻮْﻥَ ﺃَﺣَﺐَّ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺴِﻚَ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﻋُﻤَﺮُ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺍﻵﻥَ ﻭَﺍﻟﻠﻪِ ﻷَﻧْﺖَ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇِﻟَﻰَّ ﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺴِﻲْ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻵﻥَ ﻳَﺎ ﻋُﻤَﺮُ -
‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার জীবন ছাড়া আপনি আমার নিকট সবকিছু অপেক্ষা অধিক প্রিয়। তখন নবী (ছাঃ) বললেন, না, যাঁর হাতে আমার প্রাণ ঐ সত্তার কসম! তোমার কাছে আমি তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় না হওয়া পর্যন্ত (পূর্ণ মুমিন হ’তে পারবে না)। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এখন আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও বেশী প্রিয়। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, হে ওমর! এখন (তুমি সত্যিকার ঈমানদার হ’লে)’। [17]
আর দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে অধিক ভালবাসার প্রমাণ হ’ল, তাঁর সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণ করা। রাসূল (ছাঃ)-এর কথা শুনা মাত্রই তার অনুসরণ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻗَﻮْﻝَ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴْﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺩُﻋُﻮْﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻪِ ﻟِﻴَﺤْﻜُﻢَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮْﻟُﻮْﺍ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻭَﺃَﻃَﻌْﻨَﺎ ﻭَﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻤُﻔْﻠِﺤُﻮْﻥَ - ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟَﻪُ ﻭَﻳَﺨْﺶَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳَﺘَّﻘْﻪِ ﻓَﺄُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺋِﺰُﻭْﻥَ -
‘মুমিনদের উক্তি তো এই যে, যখন তাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে আহবান করা হয় তখন তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর তারাই সফলকাম। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হ’তে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম’ (নূর ২৪/৫১-৫২) ।
(ঙ) তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻌَﻈِّﻢْ ﺷَﻌَﺎﺋِﺮَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺗَﻘْﻮَﻯ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮْﺏِ ‘এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ’ (হজ্জ ২২/৩২) । অত্র আয়াতে বর্ণিত ﺷَﻌَﺎﺋِﺮَ ﺍﻟﻠﻪِ বলতে আল্লাহর নির্দেশকে বুঝানো হয়েছে, যার অন্যতম হ’ল রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করা। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণ করা।
উল্লিখিত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে, মানুষের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় বিধান হ’ল অহি-র বিধান এবং একমাত্র অনুকরণীয় ইমাম হ’লেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অহি-র বিধান হিসাবে একমাত্র কুরআন ও সুন্নাতকেই আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। তিনি বলেন, ﺗَﺮَﻛْﺖُ ﻓِﻴْﻜُﻢْ ﺃَﻣْﺮَﻳْﻦِ، ﻟَﻦْ ﺗَﻀِﻠُّﻮْﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻤَﺴَّﻜْﺘُﻢْ ﺑِﻬِﻤَﺎ ﻛِﺘَﺎﺏَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺳُﻨَّﺔَ ﻧَﺒِﻴِّﻪِ - ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি বস্ত্ত রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে দু’টিকে অাঁকড়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হ’ল, আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত’। [18] তিনি আরো বলেন, ﻗَﺪْ ﺗَﺮَﻛْﺘُﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒَﻴْﻀَﺎﺀِ ﻟَﻴْﻠُﻬَﺎ ﻛَﻨَﻬَﺎﺭِﻫَﺎ، ﻻَ ﻳَﺰِﻳْﻎُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺑَﻌْﺪِﻱْ ﺇِﻻَّ ﻫَﺎﻟِﻚٌ - ‘আমি তোমাদেরকে একটি উজ্জ্বল পরিষ্কার দ্বীনের উপর রেখে গেলাম। যার রাত দিনের মত (উজ্জ্বল)। ধ্বংসশীল ব্যক্তি ছাড়া আর কেউই তা থেকে সরে আসতে পারে না’। [19]
অতএব মানুষের সার্বিক জীবন পরিচালিত হবে একমাত্র অহি-র বিধান তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী। অহি-র বিধানকে বাদ দিয়ে অন্য কোন পথের অনুসরণ করলে মানুষ সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হবে। হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন,
ﺧَﻂَّ ﻟَﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺧَﻄًّﺎ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻫَﺬَﺍ ﺳَﺒِﻴْﻞُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺛُﻢَّ ﺧَﻂَّ ﺧُﻄُﻮْﻃﺎً ﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴْﻨِﻪِ ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻪِ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻫَﺬِﻩِ ﺳُﺒُﻞٌ ﻣُﺘَﻔَﺮِّﻗَﺔٌ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٌ ﻳَﺪْﻋُﻮْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ -
‘আমাদেরকে (বুঝানোর জন্য) রাসূল (ছাঃ) একটি সরল রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা আল্লাহর রাস্তা। অতঃপর এর ডানে-বামে আরো কতগুলি রেখা টানলেন এবং বললেন, এগুলিও রাস্তা; তবে এর প্রত্যেক রাস্তার উপর একটি করে শয়তান দাঁড়িয়ে আছে; সে লোকদেরকে সেদিকে আহবান করে। অতঃপর (এর প্রমাণে কুরআনের এই আয়াতটি) তেলাওয়াত করলেন, ﻭَﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺻِﺮَﺍﻃِﻲْ ﻣُﺴْﺘَﻘِﻴْﻤﺎً ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌُﻮْﻩُ ﻭَﻻَ ﺗَﺘَّﺒِﻌُﻮْﺍ ﺍﻟﺴُّﺒُﻞَ ﻓَﺘَﻔَﺮَّﻕَ ﺑِﻜُﻢْ ﻋَﻦْ ﺳَﺒِﻴْﻠِﻪِ ‘এটাই আমার সরল-সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এটারই অনুসরণ করবে এবং অন্যান্য পথগুলোর অনুসরণ করবে না, করলে এটা তোমাদেরকে তাঁর পথ হ’তে বিচ্ছিন্ন করে দেবে’
(আন‘আম ৬/১৫৩) । [20]
অন্য হাদীছে এসেছে, জাবের (রাঃ) বলেন, একদা একদল ফেরেশতা নবী (ছাঃ)-এর নিকট আসলেন। নবী (ছাঃ) তখন ঘুমাচ্ছিলেন। ফেরেশতাগণ পরস্পরে বললেন, তোমাদের এই বন্ধুর জন্য একটি উদাহরণ রয়েছে। তাঁর নিকট উদাহরণটি পেশ কর। তখন কেউ বললেন, তিনি ঘুমন্ত।
আবার কেউ বললেন, তাঁর চক্ষু ঘুমন্ত হ’লেও তাঁর অন্তর জাগ্রত। তখন তাদের কেউ বললেন, তাঁর উদাহরণ এই যে, এক ব্যক্তি একটি ঘর প্রস্ত্তত করেছেন এবং খাদ্য প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। অতঃপর (লোকদেরকে আহবান করার জন্য) একজন আহবায়ক পাঠালেন। এখন যে ব্যক্তি আহবায়কের আহবানে সাড়া দিল, সে ঘরে প্রবেশ করতে পারল এবং খাদ্য খেতেও পেল। আর যে আহবায়কের আহবানে সাড়া দিল না, সে ঘরেও প্রবেশ করতে পারল না, খেতেও পেল না। অতঃপর তারা পরস্পরে বললেন, তাঁকে এ উদাহরণের তাৎপর্য বলে দাও, যাতে তিনি বুঝতে পারেন। তারা বললেন, ঘরটি হচ্ছে জান্নাত, আর আহবায়ক হচ্ছেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। সুতরাং ‘যে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর অবাধ্যতা করল, সে আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ (ছাঃ) হ’লেন মানুষের মাঝে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের মানদন্ড’। [21]
[7] . তাফসীর ইবনু কাছীর ৩/৩০৮ পৃঃ, উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[8] . মুসলিম হা/১৭১৮।
[9] . বুখারী হা/২৬৯৭; মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/১৪০।
[10] . বুখারী হা/১৩৯৭; মুসলিম হা/১৪; মিশকাত হা/১৪।
[11] . বুখারী হা/৫০৬৩; মিশকাত হা/১৪৫, ‘কিতাব ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ।
[12] . তাফসীরুল কুরআন (রাজশাহী : হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২য় সংষ্করণ, মে ২০১৩), পৃঃ ৪৬৪ ।
[13] . তাফসীর ইবনু কাছীর ২/৯২ পৃঃ; উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[14] . বুখারী হা/৭২৮০, ‘কুরআন ও সান্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ; মিশকাত হা/১৪৩।
[15] . তাফসীর ইবনু কাছীর ২/৩২ পৃঃ; উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[16] . বুখারী হা/১৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়; মুসলিম হা/৪৪; মিশকাত হা/৭।
[17] . বুখারী হা/৬৬৩২, ‘শপথ ও মানত’ অধ্যায়।
[18] . মুওয়াত্তা মালেক হা/৩৩৩৮, মিশকাত হা/১৮৬, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ১/১৩২ পৃঃ; আলবানী, সনদ হাসান।
[19] . ইবনু মাজাহ হা/৪৩, ‘খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ’ অনুচ্ছেদ; সিলসিলা ছহীহা হা/৯৩৭।
[20] . মুসনাদে আহমাদ হা/৪১৪২; মিশকাত হা/১৬৬, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ১/১২৩ পৃঃ; আলবানী, সনদ হাসান।
[21] . বুখারী হা/৭২৮১, ‘কুরআন ও সান্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছে; মিশকাত হা/১৪৪।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$