রোজা রাখছেন নিয়ম করে। আর ইফতারের পরই শরীর কেমন যেন ভার ভার লাগছে। পেটে অস্বস্তি? নিজেরই কিছু খাওয়ার ভুলের জন্য এমনটা হচ্ছে না তো?
জেনে নিন সুস্থ থাকতে ইফতার এবং ইফতার পরবর্তী খাবারে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন-
রোজা ভেঙেই খেজুর, ফিগ জাতীয় ফল, বাদাম খান। এতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ প্রচুর।
স্যুপ বা পোরিজের সঙ্গে খেজুর, দুধ ও চা ইফতারের আদর্শ খাবার। এতে তখন পেটও ভরবে, ডিনারের জন্য শরীরকে তৈরি রাখবে।
রোজা ভেঙেই এক গাদা মিষ্টি, শরবত খেয়ে নেবেন না। এতে শরীর খারাপ হতে পারে।
খাবারের সঙ্গে কখনোই ফল খাবেন না। ফল খেয়ে রোজা ভেঙে একটু পর খাবার খান। এক সঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
যদি বাদাম খান, সঙ্গে চিজ খাবেন না। শরীর একবারে এক ধরনের কনসেট্রেটেড প্রোটিন হজম করতে পারে। দুটো এক সঙ্গে হলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
মাংস খেলে সঙ্গে চিংড়ি বা কোনো রকম সিফুড এড়িয়ে চলুন। সারা দিন উপোসের পর বেশি প্রোটিন হজমের গণ্ডগোল ঘটাবে।
দুগ্ধজাত খাবার ও সাইট্রাস ফল কখনই এক সঙ্গে খাবেন না। ফলের অ্যাসিডে দুধ ছানা কেটে গিয়ে পেটের ভয়ংকর পেটের গোলমাল ঘটাতে পারে।
যতই তৃষ্ণা পাক, রোজা ভেঙেই প্রচুর জল খাবেন না। এতে পেট ব্যথা হবে, ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।
যতই খিদে পাক ইফতারে কখনোই বেশি খেতে যাবেন না। অল্প করে খেয়ে রোজা ভাঙুন। দুঘণ্টা পর রাতের খাবার খেয়ে নিন।
যদি রাতের খাবার না খেতে চান, তাহলে ইফতার করেই ঘুমোতে চলে যাবেন না। একটু হেঁটে আসুন। পরিবারের সঙ্গে গল্প করে কিছুটা সময় কাটান।
Post a Comment