চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাস আল্লাহ্র রহমতের মাস আল্লাহ্ পাবার মাস। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই এই পবিত্র মাসে সবাই চেষ্টা করবেন যার যার মত করে সংযম সাধনায় মগ্ন থাকতে। যথাযথ পবিত্রতা আর সাধনার সঙ্গে পালিত হয় রমজানের এই মাসটি।
রোজার উপকারিতা অনেক। রোজা মেদভুঁড়ি, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের জটিলতা থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এদিকে এই রমজানে রোজা পালনের সময় অনেকেই আছেন যারা গলা ও বুকে জ্বালা অনুভব করেন। মুলত খাদ্যাভ্যাস ও সময়সূচির আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। সাধারণত পাকস্থলীর পরিপাক-রসের শক্তিশালী অম্ল বা অ্যাসিড যাতে ওপর দিকে খাদ্যনালিতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য খাদ্যনালির প্রান্তে একটি ভাল্ভের মতো অংশ থাকে। এটি কোনো কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে অ্যাসিড ওপরে উঠে যায়। তখনই গলা ও বুকে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়।
স্থূলতা, ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা প্রভৃতি কারণে এ সমস্যা বাড়তে পারে। হঠাৎ করে বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চকলেট, কফি, অ্যাসিডযুক্ত ফল (যেমন: লেবু বা টমেটো), জুস ইত্যাদি খেলে বুকজ্বালা বাড়ে। একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণের ফলেও এ রকম সমস্যা হয়।
রমজানে গলা-বুক জ্বলার সমস্যা এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ:
১. ইফতারে এক সঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়ে খান। শুরুতেই অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে ফেললে সমস্যা বাড়বে। প্রথমে হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন, যেমন: শরবত, খেজুর, কাঁচা ছোলা বা ফলমূল।
২. পেট ভরে খাওয়ার পর অনেক পানি একসঙ্গে পান করবেন না। গ্রীষ্মের লম্বা দিনে রোজা রেখে পানির চাহিদা পূরণ করতে প্রচুর পানি পান করতে হবে বটে, তবে কিছুক্ষণ পর পর। সাহরিতে তাড়াহুড়া নয়, ধীরে সুস্থে খান।
৩. ইফতার বা সাহরির পরপরই শুয়ে পড়ার প্রবণতাও খারাপ। খানিকক্ষণ বসে বই পড়ুন, টিভি দেখুন বা হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। ধূমপান বর্জন করুন।
Post a Comment