Register

Win 10.00$

নারীদের রোজার মাসায়েল

Be the first to comment!

# মহিলারা রমজান ছাড়া স্বামীর অনুমতি ব্যতীত রোজা রাখবে না। (তিরমিজি : হাদির নম্বর ৭৮২)
# যে মেয়ে বালেগ হয়েছে অথচ লজ্জার কারণে প্রকাশ করে না এবং রোজাও রাখে না। তাহলে তার ওপর তাওবা ও ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করা ওয়াজিব।
# মহিলা যদি নিজের হায়েজের আর্দ্রতা তথা পবিত্রতার নিদর্শন দেখতে পায়। যার দ্বারা বুঝতে পারে যে সে এখন পাক হতে যাচ্ছে। তাহলে রাতেই রোজার নিয়ত করবে। আর যদি পবিত্রতার নিদর্শন না দেখা যায়, তাহলে ভেতরে তুলা লাগিয়ে দেবে। যদি পরিষ্কার থাকে, তাহলে রোজা রাখবে। যদি দ্বিতীয়বার হায়েজের রক্ত এসে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলবে।
# মহিলা যদি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী বুঝতে পারে যে আগামীকাল তার হায়েজ জারি হবে। তাহলেও সে রোজা ভাঙবে না। যতক্ষণ না সে তার হায়েজের রক্ত দেখতে পায়। (আপকে মাসায়েল : খ. ৩, পৃ. ২৭৮)
# হায়েজা মহিলার জন্য উত্তম হলো নিজের স্বাভাবিক অবস্থার ওপর থাকা। আল্লাহ তাআলা তার ওপর যে ফয়সালা করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। এমন কিছু ব্যবহার না করা, যার দ্বারা রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। বরং হায়েজ অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেওয়া। অতঃপর কাজা করে নেওয়া। কেননা উম্মুল মুমিনিন ও আকাবির মহিলারা এমনটিই করেছেন। আর যদি ওষুধ দিয়ে রক্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলেও রোজা হয়ে যাবে। (আপকে মাসায়েল : খণ্ড ৩, পৃ. ২০৭)
# নেফাজওয়ালা মহিলা যদি ৪০ দিন হওয়ার আগেই পাক হয়ে যায়, তাহলে রোজা রাখবে এবং নামাজের জন্য গোসল করে নেবে।
# আর যদি ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও রক্ত জারি থাকে, তাহলে সে রোজা রাখবে এবং গোসল করে নেবে। কেননা তার রক্ত ইস্তেহাজা (রোগ) হিসেবে গণ্য করা হবে। (বেহেশতি জেওর : পৃষ্ঠা : ১৬০, শরহে বেকায়া : খ. ১, পৃ. ১২০)
# হায়েজওয়ালা মহিলা যদি সূর্য হেলার আগেই পাক হয়ে যায় এবং রোজার নিয়ত করে, তাহলে তার ফরজ আদায় হবে না। (শামি : খ. ৩, পৃষ্ঠা : ৩৮৫)

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$