Register

Win 10.00$

পবিত্র রমজানের দশ দিন নিয়ে আল্লাহর কসম

Be the first to comment!

আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে।
রোজার মাস মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসকে সংযম সাধনার মাসও বলা হয়। ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিধানের অন্যতম রোজাকে রমজান মাসের সঙ্গে শর্তায়িত করে ফরজ করা হয়েছে। রোজা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রমজান মাসের ফরজ রোজার নিয়ত করা যায়। নিয়তের ক্ষেত্রে ভাষাটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। অন্তরের ইচ্ছাটাই আসল কথা।
রমজান মাস মুমিনের জন্য ইবাদতের সর্বোত্তম সময়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন- রমজানের একটি ফরজ ইবাদত অন্য সময়ের সত্তরটি ফরজের সমান। আর রমজানের একটি নফল আমল অন্য সময়ের একটি ফরজের সমান। তাই মহান আল্লাহও চান মুমিন বান্দা রমজান মাসে বেশি পরিমাণ নেক আমল করুক!
মহানবী বলেছেন, ‘রমজান মাস আরম্ভ হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক অনবরত ঘোষণা করতে থাকে, হে সৎকর্মপরায়ণ! তুমি দ্রুত অগ্রসর হও। আর হে পাপাচারী! তুমি নিবৃত্ত হও।’ (তিরমিজি)
পবিত্র রমজানুল মোবারককে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার প্রথম ১০ দিন রহমতের ঝর্ণাধারায় পরিপূর্ণ, দ্বিতীয় ১০ দিন ক্ষমা ও মাফের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভের উপায়রূপে নির্ধারিত।
পবিত্র রমজানের প্রথম দশ দিনে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। এই সময়ে রহমতের বারিধারা আরও প্রবল বেগে বইতে থাকে। এতে সিক্ত হয়ে মুমিন বান্দারা পরকালে সুউচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন। রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সামনে রমজান মাস হাজির। এটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন।’
এ মাসে রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং বড় বড় শয়তানকে আটক করে রাখা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে লোক এই রাতের মহাকল্যাণ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকলো, সে প্রকৃতই সবকিছু থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি।
আল্লাহ তা’আলা এই দশ দিনের কসম করেছেন : ‘কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।’ {সূরা আল-ফাজর, আয়াত : ১-২} আয়াতে ‘কসম দশ রাতের’ বলে রহমতের দশকের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। এটিই সকল মুফাসসিরের মত।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$