আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ঐ আমল, যা নিয়মিত করা হয়। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কি? তিনি বললেনঃ যে আমল নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হোক। তিনি আরোও বললেন, তোমরা সাধ্যমত আমল করে যাও। [বুখারী, ৬০২১] তাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনের করণীয় ২০টি উত্তম কাজ তুলে ধরা হলো
১. নিয়মিত ফরজ ও নফল নামাজ আদায় করা, বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
২. বেশি বেশি কুরআন অধ্যয়ন ও আল্লাহর জিকির করা।
৩. গরিব-দুঃখীর মাঝে দানের হাত প্রসারিত করা।
৪. আল্লাহর নিকট গুনাহের জন্য গভীরভাবে অনুতাপ করা।
৫. বেহুদা ও ফাহেশা কথা বলা থেকে বিরত থাকা।
৬. মাত্রারিক্ত ঘুমে না যাওয়া এবং ঘুমের ফলে নামাজ ত্যাগ না করা।
৭. সুন্নতি রোজা পালন করা; (বিশেষ করে আই্য়্যামে বিজের রোজা পালন করা। যা প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রাখা হয়)
৮. সুন্নত তরিকায় খাবার গ্রহণ করা এবং কোনো খাবার জিনিস নষ্ট না করা।
৯. মানুষের জীবনের প্রতি কর্মে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা।
১০. উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও বিষণ্ণতা পরিহার করে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
১১. অযথা অধিক রাত্রি জাগরণ না করে যথা সময়ে পরিমাণ মতো ঘুমিয়ে যাওয়া।
১২. খাবার গ্রহণে অনিয়ম না করে পরিমিত খাবার খাওয়া।
১৩. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যা পরিহার করা।
১৪. অর্থহীন তর্ক-বির্তক, হট্টগোল পরিহার করা।
১৫. জিনা-ব্যভিচার, লজ্জাহীনতা পরিহার করা।
১৬. ন্যায়, কর্তব্যপরায়ন ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখা।
১৭. বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতা রক্ষা করা।
১৮. দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
১৯. একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল ও সদয় হওয়া।
২০. পরিবারের প্রতি সদয় হওয়া।
উপরোক্ত কার্যাবলী যথাযথ পালন করতে পারলে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করবেন এবং তার সব কর্মের উজ্জ্বল্য আল্লাহ বৃদ্ধি করেবেন। তাই আল্লাহ তাআলা সবাইকে খারাপ কর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে ভালো আলমলগুলো যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Post a Comment