যে গোসল করা খুবই অপরিহার্য তাকেই ফরজ গোসল বলে। বালেগ বয়সে নাপাক হলে অর্থাৎ কারো স্বপ্নদোষ হলে বা স্বামী-স্ত্রীর সহবাস সম্পন্ন হলে তখন ফরজ গোসল করা আবশ্যক এবং এটি অত্যন্ত জরুরী। আবার বিভিন্ন কারণেও গোসল ফরজ হয়। ইসলামের বিধানে ফরজ গোসলকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে অবহিত করা হয়েছে।
যে সকল কারণে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে-
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক বা আর নাই হোক)
৩. মেয়েদের হায়েস নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহণ করলে (নব-মুসলিম হলে)।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের আগে মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ও অন্যান্য স্থান ভালো করে ধৌত করতে হবে। আশপাশ ও শরীরের অন্য জায়গায় নাপাকি লেগে থাকলে তা পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে ফেলতে হবে।
৫. এবার অজুর নিয়মের মত করে অজু করতে হবে কিন্তু দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. এবার অজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে তিনবার ডানে তারপরে তিনবার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে। মনে রাখতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ যেন শুকনো না থাকে এমনকি একটি লোমও না। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গা পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে অন্য একটি জায়গায় সরে গিয়ে দুটি পা তিনবার ভালো করে ধুতে হবে।
অবশ্যই যা মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর অজু করতে হবে না (অজু যদি না ভাঙে)
সর্বশেষে আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
Post a Comment