Register

Win 10.00$

কেয়ামত বা দুনিয়া ধ্বংস হওয়ার আলামত সমূহ

Be the first to comment!

কেয়ামত কখন হবে তা একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনই জানেন তিনি ছাড়া আর কেউই তা জানে না। বিভিন্ন হাদীসে কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে কিছু আলামতের কথা বলা হয়েছে।

ঐ আলামতগুলো দেখা যাওয়ার পর কেয়ামত নাজিল হবে, তবে তার সুষ্পষ্ট সময় জানা নাই। আর এই আলামতগুলোর ধারাবাহিকতা কী হবে সে ব্যাপারেও সুস্পষ্ট সহিহ কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন দলিলকে একত্রে মিলিয়ে এগুলোর ধারাবাহিকতা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
নিম্নে কেয়ামত হওয়ার আগের বড় আলামতগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

(১) ইমাম মাহাদীর আগমনঃ ইমাম মাহাদী আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশ হতে আগমন করবেন (ফাতিমা (রাঃ) বংশ হতে)। তিনি ইসলামকে সমুন্নত করবেন। তার শেষ সময়ে দাজ্জালের আগমন ঘটবে।

(২) দাজ্জাল এর আগমনঃ দাজ্জাল হবে এক চোখ বিশিষ্ট এবং আবির্ভুত হওয়ার পর দাজ্জাল ৪০ দিন (দুনিয়ার হিসাবে ১ বছর, ২ মাস, ১৪ দিন) দুনিয়াতে থাকবে। সে একমাত্র মদিনা ছাড়া দুনিয়ার সব শহড় প্রদক্ষিন করবে। ব্যাপক মানুষ এই সময় দাজ্জালকে খোদা স্বীকার করে ঈমানহারা হয়ে জাহান্নামে যাবে। দুনিয়ার সমস্ত ফিতনা হতে দাজ্জালের ফিতনা হবে সবচেয়ে ভয়াবহ। সকল নবীরাই তাদের উম্মতকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে হিফাজত থাকতে বলেছেন।

(৩) মসীহ ঈসা (আঃ) এর আগমনঃ ইমাম মাহাদীর শেষ সময়ে ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে পুনরায় আগমন করবেন, তিনি ইমাম মাহাদীকে সাথে নিয়ে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তিনি বিশ্বে পরিপুর্নভাবে ইসলামী শাসন কায়েম করবেন।

(৪) ইয়াজুয-মা’জুয এর আগমনঃ বাদশাহ যুলকারনাইন ইয়াজুয-মা’জুয কে বন্দি করে রেখেছিলেন, যেখান থেকে কেয়ামতের আগে ঈসা (আঃ) এর সময়ে তারা ছাড়া পাবে। ইয়াজুয-মা’জুয ব্যাপকহারে হত্যাযজ্ঞ চালাবে, ব্যাপকহারে মানুষের ধন-সম্পদ, ফসল-ফলাদি ধ্বংস করবে, ফিতনার সৃষ্টি করবে। অতপর ঈসা (আঃ) সময় আল্লাহ্ তাদের দমন করবেন।

(৫) তিন টি বড় ভূমিধসঃ কেয়ামতের আগে ৩ টি বড় ভূমিধস হবে। এই ভূমিধস হবে পুর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং আরব উপদ্বীপে।

(৬) বিশাল ধোঁয়ার আগমনঃ বিশাল ধোঁয়া আকাশ-যমীনের মধ্যবর্তী খালি জায়গা পূর্ন করে দিবে। এই ধোঁয়ার ফলে মুমিনরা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং কাফেরদের জন্য তা হবে যন্তনাদায়ক আযাব।

(৭) পশ্চিম দিক হতে সূর্যোদয়ঃ কেয়ামতের আগে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে। যেই দিন থেকে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে সেদিন থেকে মানুষের আর কোন তওবা কবুল হবেনা।

(৮) দাব্বাতুল আরদ্ এর আগমনঃ এটা এমন একটা জন্তু যা মানুষের মতো কথা বলবে। এটা মুমিন বান্দাদের কপালে ‘মুমিন’ এবং কাফেরদের কপালে ‘কাফের’ লিখে দিবে। কোন কোন হাদিছে আছে নাকে দাগ দিয়ে দিবে।

(৯) দুনিয়া হতে ইলম এ দ্বীন উঠিয়ে নেয়াঃ মুমিন লোকদের মৃত্যুর মাধ্যমে দুনিয়া থেকে দ্বীনী শিক্ষা উঠে যাবে। তাওহীদের কালেমা পাঠ করার মতো কেউ থাকবেনা। মানুষ মুর্তি পুজার দিকে ধাবিত হবে।

(১০) ভয়াবহ আগুন বের হবেঃ ইয়েমেনের একটি স্থান থেকে ভয়াবহ আগুন বের হবে এবং এই আগুন মানুষদের হাকিয়ে শাম দেশে (সিরিয়া, ফিলিস্তীন, লেবানন, জর্ডান অঞ্চল) একত্রিত করবে।

সবশেষে ইসরাফিল (আঃ) শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন এবং কেয়ামত নাজিল হবে।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$