ইসলাম ধর্মে নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজ আদায়ের পাশাপাশি সুন্নাত ও বিভিন্ন নফল ইবাদত করে থাকেন। তবে এমন অনেক মুসলমান আছে যারা মুসলিম হয়েও নিয়মিত কিংবা কখনোই নামাজ আদায় করে না। নামাজ পরিত্যাগ করা এই সকল মানুষদের জন্য পরকালে অপেক্ষা করছে কঠিন আযাব। নামাজ পরিত্যাগের জন্য কঠিন শাস্তির হুমকি এসেছে কুরআন ও হাদিসে। বেনামাজিদের মূলত ৩টি ধাপে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে ৯টি শাস্তি।
১ম পর্যায়
মৃত্যুর সময় ৩টি শাস্তি
১। অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।
২। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।
৩। মৃত্যুর সময় এত তৃষ্ণা পাবে যে, দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করার ইচ্ছা হবে।
২য় পর্যায়
কবরে ৩টি শাস্তি
১। বেনামাজির কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।
২। তার কবরে, রাতদিন আগুন জ্বলতে থাকবে।
৩। আল্লাহ তার কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। তার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তার ফল ভোগ কর। এই বলে ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছর নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা থেকে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলে যাবে। সেই ফেরেশতা পুনরায় তাকে জীবিত করে হাড় মাংস এক করে আবার আঘাত করতে থাকবে। এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়া তাকে আঘাত করতে থাকবে।
৩য় পর্যায়
হাশরের মাঠে ৩টি শাস্তি
১। একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের মাঠে নিয়ে যাবে।
২। আল্লাহ পাক তাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না।
৩। সে চিরকালের জন্য দোজখি হয়ে নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে।
আসুন! অকারণে নামাজ ত্যাগ করা পরিহার করি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে কঠিন এ শাস্তি থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হই। আল্লাহ সবাইকে তওফিক দান করুন। -আমিন
Post a Comment