Register

Win 10.00$

বিয়ে প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান

Be the first to comment!

ইসলামের প্রাথমিক যুগে অমুসলমানদের সঙ্গে মুসলমানদের বিয়ে-শাদী বৈধ ছিল। মুসলমান পুরুষরা অমুসলিম নারীদেরকে বিয়ে করতো আবার মুসলিম নারীদের সঙ্গেও অমুসলিম পুরুষদের বিয়ে হতো। পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ তা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে এ আয়াত নাজিল করেন-
আয়াতের অনুবাদ (নিচে দেওয়া হলো)
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২২১ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে যাদের বিয়ে বৈধ আর যাদের সঙ্গে বিয়ে অবৈধ তার সুস্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন।

এ আয়াত নাজিলের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই মুসলিম ও অমুসলিম নারী-পুরুষদের মধ্যে প্রচলিত বিয়ের প্রথা বাতিল হয়ে যায়।

অমুসলিম নারী বা পুরুষ, সে যত পছন্দনীয়, লোভনীয়, মোহনীয় হোক না কেন; তার সঙ্গে কোনো মুসলমানের দাম্পত্য সম্পর্ক সর্বকালের জন্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে এ আয়াতে।
এ আয়াত নাজিলের কারণ বর্ণনায় আল্লামা বগভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার আবু মুরশেদ গানাবি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পবিত্র মক্কা নগরীতে এ উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিলেন, যেন মক্কার মুসলমানদেরকে তিনি গোপনে সরিয়ে নিয়ে আসেন।

আবু মুরশেদ গানাবি যখন মক্কায় পৌছলেন, তখন এনাক নামের এক মুশরেস স্ত্রীলোক তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে তাঁর নিকট উপস্থিত হলো। সে জাহেলিয়াতের যুগে তাঁর প্রতি আসক্ত ছিল।

স্ত্রীলোকটি বলতে লাগলো, ‘কি ব্যাপার আবু মুরশেদ! তুমি আমার সঙ্গে অভিসারে মিলিত হচ্ছো না কেন? তখন তিনি বললেন, ‘কমবখ্ত এনাক দূর হও। ইসলাম আমাকে এসব কিছু থেকে বিরত রেখেছে।’

তখন স্ত্রীলোকটি বললো, ‘তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও।’ তিনি বললেন, ‘যদি তা করতে হয় তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গিয়ে তাঁর অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।’

তখন স্ত্রীলোকটি হৈ-হুল্লোড় শুরু করে দেয়। আর তার দলের পুরুষেরা এসে আবু মুরশেদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে অমানবিকভাবে প্রহার করতে থাকে।

অবশেষে আবু মরশেদ গানাবি রাদিয়াল্লাহু আনহু বিশ্বনবি কর্তৃক প্রাপ্ত দায়িত্ব পালন শেষ করে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে পৌছে তাঁর ও এনাক নামক স্ত্রীলোকটির মধ্যকার সব ঘটনা ব্যক্ত করেন এবং আরজ করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! তার সঙ্গে কি আমার বিবাহ বৈধ হবে?’ ওই সময় আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন।
পড়ুন- সুরা বাকারার ২২০ নং আয়াত

পরিষেশে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিয়ে-শাদী বিষয়ে কুরআনের বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। অমুসলিম নারী ও পুরুষ যত আকর্ষণীয় ও মোহণীয়ই হোক না কেন মুসললিম নারী-পুরুষের জন্য কুরআনের বিধান অনুযায়ী তা অবৈধ ও হারাম। বিধায় সবাইকে কুরআনের সুস্পষ্ট বিধান পালন এবং তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও প্রচেষ্টার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$