Register

Win 10.00$

“ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নত” সারাদিন অনাহারে থাকার পর খেজুর খাওয়ার রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও!

Be the first to comment!

রাজধানীর পুরানা পল্টনের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররাম মার্কেট এলাকা থেকে ইফতারের জন্য খেজুর কিনলেন একজন রোজাদার মোমিন। খেজুর কেনা প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন, ‘একজন রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। ইফতারের মাধ্যমে একজন রোজাদার তার রোজা শেষ করেন। রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা) খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন নতুবা কয়েক ঢোক পানি পান করতেন।’

এজন্যই ইফতারে খেজুর আমাদের দেশেও বেশ সমাদৃত। এ সময়েই দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আমদানি ও বিক্রি হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের খেজুর উৎপাদিত হয় না বললেই চলে। মূলত বিদেশ থেকেই আমদানি হয়। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি এতো জনপ্রিয় হলো কিভাবে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম খাদেমুল হক বলেন, ‘এটা তো রমজানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হযরত মুহাম্মদ (সা) রোজা খোলার সময় অর্থাৎ ইফতারে খেজুর খেতেন। সে কারণে মনে করা হয় এটা ভালো অনুষঙ্গ। সেজন্যই বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নত।’ তিনি বলেন, ‘অন্য সময় তো কেউ এতো চিন্তা করে না আর এটি বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গেও জড়িত নয়, সেজন্য অন্য সময় ততটা জনপ্রিয় নয় এটা।’

সারা দিন রমজান মাসে রোজা রাখার পর ইফতারে প্রথমেই সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন। এর একটি কারণ হয়তো এই যে, এই সংস্কৃতি সারা বিশ্বেই অনুসৃত হয়।

তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও আছেঃ

খেজুর প্রচুর ক্যালরি বা শক্তিদায়ক একটি ফল। প্রচুর শর্করা থাকার কারণে খাবার আধ ঘণ্টার মধ্যে এটি বাড়তি শক্তি জোগাতে সক্ষম। এছাড়া এটি দ্রুত মস্তিষ্কের খিদে কেন্দ্রকে উজ্জীবিত করে খিদে মেটায় ও আরো বেশি খাবার ইচ্ছা থেকে বিরত রাখে।

আরো একটি কারণ হলো, এর মধ্যে আঁশের পরিমাণও অনেক এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কয়েক ঘণ্টা খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর এটি পানি শোষণ করে ফুলে ওঠে। এমন খেজুর খেলে আরো বেশি উপকার মেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে। প্রচুর পটাশিয়াম আছে এতে এবং এই পটাশিয়াম দ্রুত স্নায়ুব্যবস্থার অবসন্নভাব দূর করে ও তরতাজা ভাব এনে দেয় রোজাদারদের। ওজন বাড়াতে, রক্তশূন্যতা দূর করতেও এটি বেশ উপকারী।

রোজার পর অবসাদগ্রস্ত দেহে দ্রুত চাঙ্গাভাব এনে দেয় খেজুর। আর তাই ইফতারে একটি অপরিহার্য খাবার হলো খেজুর। কোন দেশ থেকে খেজুরগুলো আসছে এবং এর আকৃতি কেমন, তার ওপর নির্ভর করে খেজুরের দাম। রয়েছে বিভিন্ন নাম এবং প্রকারভেদও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইরানের মারিয়ম খেজুরগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০০ টাকা দরে। সৌদি মারিয়ম ১২০০ টাকা। রয়েছে বড় কালো রঙের আনজেরিয়া, প্রতিকেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। সৌদি আনবার প্রতিকেজি ২৪০০ টাকা। বারারি প্রতি প্যাকেট ২৫০, এপ্রিকেটস ৩০০ এবং টার্কিস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতি প্যাকেট। এছাড়াও রয়েছে সাধারণ খোলা খেজুর এবং প্যাকেটজাত শুকনা খেজুর। যার বাজার মূল্য প্রকারভেদে প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$