Register

Win 10.00$

বিবাহ বৈধ এমন মহিলার সাথে করমর্দন

Be the first to comment!

আজকের সমাজে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা অবারিতভাবে চলছে। ফলে অনেক নারী-পুরুষই নিজেকে আধুনিক হিসাবে যাহির করার জন্য শরী‘আতের সীমালংঘন করে পরস্পরে মুছাফাহা করছে। তাদের ভাষায় এটা হ্যান্ডশেক বা করমর্দন। আল্লাহর নিষেধকে থোড়াই কেয়ার করে বিকৃত রুচি ও নগ্ন সভ্যতার অন্ধ অনুকরণে তারা এ কাজ করছে এবং নিজেদেরকে প্রগতিবাদী বলে যাহির করছে। আপনি তাদেরকে যতই বুঝান না কেন বা দলীল-প্রমাণ যতই দেখান না কেন তারা তা কখনই মানবে না। উল্টো আপনাকে প্রতিক্রিয়াশীল, সন্দেহবাদী, মোহাচ্ছন্ন, আত্মীয়তা ছিন্নকারী ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করবে।
চাচাত বোন, ফুফাত বোন, মামাত বোন, খালাত বোন, ভাবী, চাচী, মামী প্রমুখ আত্মীয়ের সঙ্গে মুছাফাহা করা তো তাদের নিকট পানি পানের চেয়েও সহজ কাজ। শরী‘আতের দৃষ্টিতে কাজটি কত ভয়াবহ তা যদি তারা দূরদৃষ্টি দিয়ে দেখত তাহলে কখনই তারা এ কাজ করত না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
ﻟَﺄَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَّﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻَ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ –
‘নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক শ্রেয়, যে তার জন্য হালাল নয়’।[1]
নিঃসন্দেহে এটা হাতের যিনা। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
ﺍَﻟْﻌَﻴْﻨَﺎﻥِ ﺗَﺰْﻧِﻴَﺎﻥِ ﻭَﺍﻟْﻴَﺪَﺍﻥِ ﺗَﺰْﻧِﻴَﺎﻥِ ﻭَﺍﻟﺮِّﺟْﻼَﻥِ ﺗَﺰْﻧِﻴَﺎﻥِ ﻭَﺍﻟْﻔَﺮْﺝُ ﻳَﺰْﻧِﻰ –
‘দু’চোখ যিনা করে, দু’হাত যিনা করে, দু’পা যিনা করে এবং লজ্জাস্থানও যিনা করে’।[2]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে অধিক পবিত্র মনের মানুষ আর কে আছে? অথচ তিনি বলেছেন, ﺇِﻧِّﻰ ﻻَ ﺃُﺻَﺎﻓِﺢُ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀَ ‘আমি নারীদের সাথে মুছাফাহা করি না’।[3] তিনি আরও বলেছেন,
ﺇِﻧِّﻲ ﻻَ ﺃَﻣَﺲُّ ﺃَﻳْﺪِﻱَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ‘আমি নারীদের হাত স্পর্শ করি না’।[4]
মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন,
ﻻَ ﻭَﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺎ ﻣَﺴَّﺖْ ﻳَﺪُ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠﻰَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺪَ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﻗَﻂُّ ﻏَﻴْﺮَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳُﺒَﺎﻳِﻌُﻬُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻜَﻼَﻡِ –
‘আল্লাহর শপথ, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাত কখনই কোন বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি মৌখিক বাক্যের মাধ্যমে তাদের বায়‘আত নিতেন’।[5]
সুতরাং আধুনিক সাজতে গিয়ে যারা নিজেদের বন্ধুদের সাথে মুছাফাহা না করলে স্ত্রীদের তালাক দেয়ার হুমকি দেয় তারা যেন হুঁশিয়ার হয়। জানা আবশ্যক যে, মুছাফাহা কোন আবরণের সাহায্যে হোক বা আবরণ ছাড়া হোক উভয় অবস্থাতেই হারাম।
– মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ
[1]. তাবারাণী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৬।
[2]. আহমাদ হা/৩৯১২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪১২৬।
[3]. আহমাদ হা/২৭৫৩; ছহীহাহ হা/২৫০৯।
[4]. তাবারাণী কাবীর, ২৪/৩৪২; ছহীহুল জামে‘, হা/৭১৭৭।
[5]. মুসলিম হা/১৮৬৬।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$