Register

Win 10.00$

ফজর এবং আসরের নামাজের ফজিলত

Be the first to comment!

আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। তাছাড়াও নামাজের মধ্যে মানুষের জন্য রয়েছে অসংখ্য ফজিলত ও উপকারিতা। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজর এবং আসরের নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-
হজরত ওমারা ইবনে রুওয়াইবা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, এমন ব্যক্তি কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সুর্যাস্তের পূর্বে নামাজ পড়বে অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম)
ফজর এবং আসর নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কারণ
১. ফজরের সময়ের ঘুম মানুষের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক। আর আসরের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলা-ধুলা এবং চিত্তবিনোদনে মানুষের ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সকল কারণে মানুষ ফজর এবং আসরের নামাজ যথা সময়ে পড়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। সুতরাং যে ব্যক্তি এ দুই ওয়াক্ত নামাজ যথা সময়ে আদায় করে তাঁর জন্য অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় সহজ হয়ে যায়।
২. এ দুই সময়ে দিনের এবং রাতের ফেরেশতারা উম্মতের আমল আল্লাহ তাআলার দরবারে নিয়ে যায়। আমল নিয়ে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা যাদেরকে নামাজরত অবস্থায় দেখবে, তারা আল্লাহ তাআলার দরবারে তাদের নামাজি হওয়ার সাক্ষ্য দান করবে। কাজেই এটা অসম্ভব নয় যে আল্লাহ তাআলা এ বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।
৩. বান্দার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার পূর্বে আসর এবং ফজরের নামাজ ফরজ ছিল। তাই এ দু ওয়াক্তের নামাজের গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment

ads

Contact Form

Name

Email *

Message *

ads

Win 10.00$